আগামী নির্বাচনে শিক্ষকদের সমর্থন প্রত্যাশা তারেক রহমানের
রাষ্ট্রের সক্ষমতা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনে শিক্ষকদের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এতে সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী অংশ নেন।
সমাবেশে অবসরের বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণসহ চার দফা দাবি জানানো হয়।
তারেক রহমান বলেন, “অতীতের ভালো দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং খারাপ দৃষ্টান্ত বর্জন করে আমাদের দেশ গড়তে হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন ছাড়া উন্নত বাংলাদেশ সম্ভব নয়। এজন্য শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের স্কুলপর্যায় থেকেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।”
বিএনপির এই নেতা শিক্ষাখাতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “আমরা শিক্ষাখাতে একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কমিশন গঠন করব। সেই কমিশন শিক্ষকদের অধিকার, মর্যাদা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন করবে।”
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মতো জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের অন্তত একজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ জানাতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।”
সমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।










