বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

বেতনা-মরিচ্চাপ অববাহিকায় টিআরএম ছাড়া জলাবদ্ধতা মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
বেতনা-মরিচ্চাপ অববাহিকায় টিআরএম ছাড়া জলাবদ্ধতা মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার বেতনা-মরিচ্চাপ অববাহিকায় কমিউনিটি ভিত্তিক জোয়ারাধার (টিআরএম) বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে। বক্তারা বলেছেন, টিআরএম ছাড়া সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা মুক্তির সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবারকপুরে উত্তরণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় “কমিউনিটি ভিত্তিক টিআরএম পরিকল্পনা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা।
জোয়ার বদলাচ্ছে: দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের জোয়ারনদীগুলোর প্রতিবেশভিত্তিক অভিযোজন প্রসারে জনগণের পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ এই সভার আয়োজন করে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তরণের পরিচালক শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ্। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিদ আমিন শ্বাশ্বত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারি আজিজুর রহমান, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ শফিকুল ইসলাম এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর পানি সম্পদ প্রকৌশলী এটিএম সামসুল আলম।

উন্মুক্ত আলোচনা অংশ নেন শোভনালি ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মহিতুর রহমান,  পাখি মারা টি আর এম বিল কমিটির সহ সভাপতি গোলদার আশরাফুল হক, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।

সভায় মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনার মাধ্যমে সিইজিআইএস-এর প্রকৌশলী সিয়াম আলম এবং পরামর্শক ড. মাহমুদা মোতাহারা বেতনা-মরিচ্চাপ অববাহিকার বর্তমান অবস্থা, সীমানা নির্ধারণ এবং টিআরএম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভাব্য সুফল ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, টিআরএম বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর প্রায় ৭৫ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সুফল পাওয়া সম্ভব। এতে জলসম্পদের উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন ও মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। শুধুমাত্র কৈখালী ও তেঁতুলিয়া বিল থেকেই প্রায় ৩০ কোটি টাকার অতিরিক্ত কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন সম্ভব।

তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেতনা নদী খনন করা হলেও টিআরএম বাস্তবায়ন না হলে অল্প সময়ের মধ্যেই নদীটি আবার পলি জমে ভরাট হয়ে যাবে। জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে নদীর পলি নিচু বিলাঞ্চলে সরিয়ে নদীর নাব্যতা রক্ষা এবং জমির উর্বরতা বৃদ্ধি—এই দুই লক্ষ্যই টিআরএম পদ্ধতির মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

বক্তাদের মতে, সরকারের ডেল্টা প্ল্যান–২১০০ এও জোয়ার-ভাটার নদী ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে টিআরএম বাস্তবায়নের সুপারিশ রয়েছে। তাই শুধু খনন বা অবকাঠামো নির্মাণ নয়, টিআরএম-ই সাতক্ষীরার মতো জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র টেকসই উপায়।

পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১২

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১২

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার সীমান্তে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় ১২ জনেরও বেশি আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আফগান তালেবান মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ইতোমধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর ৪টি সীমান্ত পোস্ট এবং ৬টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকালের দিকে কুররম সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে যৌথভাবে হামলা চালায় আফগানিস্তানের সেনাবাহনী এবং পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

হামলার জবাবে পালটা হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এ সময় আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সীমান্ত পোস্ট এবং একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়, সঙ্গে নিহত হন টিটিপির এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে কুররম সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানের খোস্ট প্রদেশের শামশাদ সেনাপোস্ট ধ্বংস করেন পাকিস্তানের সেনারা। এ সময় সেই পোস্টে থাকা আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক জন নিহত ও আহত হন, বাকিরা পালিয়ে যান।

শামশাদ পোস্ট ধ্বংস করার পর একই প্রদেশের অপর সেনা পোস্ট নার্গসার ধ্বংস করে পাকিস্তান। এই পোস্টটিতে ট্যাংক মোতায়েন করেছিল আফগান সেনারা। পাক সেনা সূত্রে জানা গেছে, নার্গসার পোস্টে অন্তত ৪টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে।

এরপর সীমান্তের ওপারে আফগান সেনাবাহিনীর তুর্কমানজাই, পোলসেন সেনাপোস্ট ধ্বংস করে পাকিস্তানি সেনারা। তুর্কমানজাই পোস্টে ষষ্ঠ ট্যাংকটি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া পোলসেন পোস্টের কাছে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেটিও ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র।

সংঘাতে আফগানিস্তানের এই চার পোস্টে বেশ কয়েক জন আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হামলার সময় টিকতে না পেরে সেনা পোস্ট থেকে পালিয়ে গেছেন জীবিত আফগান সেনারা। একটি পোস্টে সেনারা পালানোর আগে আত্মসমর্পণজ্ঞাপক সাদা পতাকাও তুলেছিলেন।

এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখে আফগানিস্তানের পাকিস্তানের আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর, কুররম, দির, চিত্রাল, বারামচাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায় আফগান সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও প্রস্তুত হয়ে ছিল। আফগানিস্তানের হামলার পরপরই পালটা জবাব দেওয়া শুরু করে পাকিস্তান। সেই সংঘাতে ২ শতাধিক আফগান সেনা এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)।

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের অভিযোগে গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবানের (টিটিপি) প্রধান নূর ওয়ালি মেসুদ নিহত হয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সঙ্গে ক্বারী সাইফুল্লাহ মেসুদসহ তার কয়েকজন সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাইফুল্লাহ মেসুদকে টিটিপির পরবর্তী প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

১১ অক্টোবরের হামলার কারণ হিসেবে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার বলেছিল, ৯ অক্টোবর বিমান হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। সেই হামলার জবাব দিতে ১১ অক্টোবর হামলা চালিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী।

মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে বিএনপি প্রতিনিধিদল

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ণ
মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে বিএনপি প্রতিনিধিদল

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা ছিল প্রাণঘাতী। এর ফলে প্রাণহানি ঘটে।

দুঃস্বপ্নের সিরিজ শেষে মিরাজের প্রতিশ্রুতি- ‘এখন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর’

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ণ
দুঃস্বপ্নের সিরিজ শেষে মিরাজের প্রতিশ্রুতি- ‘এখন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর’

টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দারুণভাবে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস টিকল না ওয়ানডেতে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেও ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল। মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার এক রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ-ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর। ফলাফল- ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার এবং তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ।

সিরিজ শেষে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ সরাসরি স্বীকার করলেন ব্যর্থতার কথা, ‘আমরা স্বীকার করছি যে এই সিরিজে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। আমাদের ভুল হয়েছে অনেক। আমরা রান করতে পারিনি এবং যেসব সুযোগ পেয়েছি সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। তাদের বোলিং আক্রমণ ভালো ছিল, তবে আমাদের এর চেয়েও ভালো খেলতে হতো। দলের সবাই একমত যে আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারিনি।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে যেন ছিল পতনের মিছিল। তৃতীয় ওয়ানডেতে সাইফ হাসান একাই করেন ৪৩ রান। বাকিদের কেউই পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কে। দলের বাকি ১০ ব্যাটারের রান ছিল ফোন নম্বরের মতো-৭, ৩, ৭, ৬, ০, ২, ৪, ৫, ৯ ও ২। ম্যাচ শেষে মিরাজের কণ্ঠে তাই শোনা যায় হতাশার সুর, তবে সঙ্গে ভবিষ্যতের চিন্তাও, ‘আমরা কিছু নির্দিষ্ট দিক নিয়ে চিন্তিত। আপনি যদি রান করতে না পারেন, তাহলে জেতা সম্ভব নয়। ব্যাটিংয়ের শুরু থেকে মাঝের দিক পর্যন্ত সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। এখন আমাদের নজর দিতে হবে পরের সিরিজের দিকে।’

মিরাজের দল পুরো সিরিজে একবারও ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। তিনি এটিকে দীর্ঘ সময় পর ওয়ানডে খেলার প্রভাব বলেও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রথমত, আপনাকে ৫০ ওভার খেলার সামর্থ্য রাখতে হবে। এই সিরিজে আমরা কোনো ম্যাচেই সেটা করতে পারিনি। আমরা অনেকদিন পর ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছি। এখন সবাই ভাবছে কীভাবে প্রতিটি ম্যাচে আরও ভালো করা যায়।’

পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কতটা হতাশাজনক। সর্বশেষ ১২ ম্যাচের ১১টিতে হেরেছে দল, টানা চারটি সিরিজ হারের পাশাপাশি নেমে গেছে র‍্যাঙ্কিংয়েও-৭৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে। নবম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং ৮০। আসছে সিরিজে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই মাঠে নামবে মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে হলে ২০২৭ সালের মার্চের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয় দলের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। সামনে ২৩টি ওয়ানডে বাকি থাকলেও বর্তমান পারফরম্যান্সে কাজটা হবে কঠিন। তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ২০০ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর মিরাজ বলেন, ‘আমরা ব্যাটিং নিয়ে বেশ চিন্তিত। রান করতে না পারলে জেতা সম্ভব না। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ধারাবাহিকভাবে রান করতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কীভাবে ভালো করা যায়, সেটা নিয়েই আমরা এখন ভাবছি, এখন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর।’

ওয়ানডেতে এই নিয়ে ছয়বার ২০০ বা তার বেশি রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩৩ রানে হারের পর এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০০ রানের হার বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম লজ্জার হার হিসেবে জায়গা করে নিল।