১২ অক্টোবরের মধ্যেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান
বিশ্ব সংবাদের মঞ্চে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইরান ও ইসরাইল। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আসছে ১২ অক্টোবরের মধ্যেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আলী আব্দুল্লাহী এই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইরানের খাতাম আল আম্বিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের প্রধান এই কর্মকর্তা জানান, শত্রুর মোকাবেলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। তাঁর ভাষায়, “আমাদের জনগণ ও সেনারা এখন একসঙ্গে, এবং আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।”
অতীতের চেয়ে ইরান এখন বেশি সংগঠিত
মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহী বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে অতীতের ১২ দিনের সংঘাতের পর ইরানের সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। “যুদ্ধ আমাদের দুর্বল করেনি, বরং ঐক্য ও আত্মবিশ্বাসে আমরা আরও সংগঠিত হয়েছি,” যোগ করেন তিনি।
ইরানের সামরিক নেতৃত্বের মতে, আজকের ইরান শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, কৌশলগত ভারসাম্যের ক্ষেত্রেও নতুন অধ্যায় লিখছে। পারস্য উপসাগর থেকে পশ্চিম এশিয়া পর্যন্ত দেশটি এখন একটি প্রভাবশালী ভূমিকায় রয়েছে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপই হিসাব করে নেওয়া হচ্ছে।
চাপের মুখে আরও দৃঢ় প্রতিরোধ
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও ইরান নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসছে না। বরং প্রতিটি চাপেই দেশটি আরও দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
আব্দুল্লাহী বলেন, “আমাদের সেনারা এখন আগের চেয়ে বেশি সজ্জিত ও সংগঠিত। জনগণ ও সেনাবাহিনীর ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
ঐক্যই প্রকৃত শক্তি
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরানের শক্তির মূল উৎস তার জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে থাকা ঐক্যবোধ। কোনো জোট বা বাইরের সহায়তা নয়—নিজস্ব আত্মবিশ্বাস ও জাতীয় ঐক্যই দেশটিকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।










