মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে হাইকোর্ট থেকে অপসারণ

রেজাউল হক প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে হাইকোর্ট থেকে অপসারণ

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হয়ে পড়ায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে অপসারণ করে বুধবার (৫ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,

“সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্তে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার তার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন বিধায় রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পুনর্বহালকৃত অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা-৬ এর বিধান অনুযায়ী ৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তাকে উক্ত পদ থেকে অপসারণ করেছেন।”

২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ প্রদান থেকে বিরত রাখেন। বিচারপতি খুরশীদ আলম ছিলেন ওই তালিকার একজন। পরবর্তীতে ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ১৫ অক্টোবর রাতে ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

পরদিন ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে এসে ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারক’দের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এসময় কয়েকজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আলোচনার পর বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ছাত্রদের সামনে এসে বলেন,

“বিচারপতিদের নিয়োগকর্তা রাষ্ট্রপতি। তাদের পদত্যাগ বা অপসারণ রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকেই হয়। প্রধান বিচারপতি তার করণীয় সম্পন্ন করেছেন। আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না।”

এরপর ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের অনুসন্ধান শুরুর প্রেক্ষাপটে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনও পদত্যাগ করেন।

অন্যদিকে বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি। বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।

এছাড়া সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি খিজির হায়াতকে গত ১৮ মার্চ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২১ মে অপসারণ করেন। সর্বশেষ আজ বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ করা হলো।

কিশোরগঞ্জে পাটজাত পণ্য তৈরিতে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

রেজাউল হক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ণ
কিশোরগঞ্জে পাটজাত পণ্য তৈরিতে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে পাটজাত পণ্য তৈরির ওপর সপ্তাহব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারত্বের অগ্রগতি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের আওতায় ১৬ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত হাতে–কলমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব জ্ঞান অর্জন করবেন।

গত ১৬ নভেম্বর ২০২৫ (রবিবার) বেলা ১২টার দিকে সংযোগ যুব গণপাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব, যশোদল, কিশোরগঞ্জে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বাকার সিদ্দিক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাহ মো. সারওয়ার

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন। প্রশিক্ষক আফরিন রহমান তুলি বক্তব্য প্রদান করেন।

এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে তসলিমা আক্তার, লিপি রাণী ও সাব্বির মো. রবিন বক্তব্য দেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সরকারি সনদ প্রদান করা হবে।

মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা

রেজাউল হক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ পূর্বাহ্ণ
মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বিচারকাজে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি আনন্দমিছিল বের হয়। মিছিলটি মিঠামইন বাজার থেকে কামালপুর গ্রামমুখী হলে ২০–৩০ জনের একটি দল মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘরে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া মিছিলে শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর শিকদারসহ কয়েকজন। কামালপুরে পৌঁছে মিছিলের একটি অংশ বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র, জানালা–দরজা, আলমারি ও বাইরের স্থাপনায় ভাঙচুর করে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ হামলা চালানো হয়। বসতঘরের দরজা–জানালা, আসবাবপত্র ও কয়েকটি ছবি ভাঙচুর হয়েছে। কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রেজাউল হক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ সদরের রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সৌদি আরব প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী মোছাঃ রুমা আক্তার (৩৩)-এর ওপর রাস্তার জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে অস্ত্রসহ আক্রমণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

মোছাঃ রুমা আক্তার জানান, স্বামী বিদেশে থাকায় কয়েকজন প্রতিবেশী দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে খারাপ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে আসছে। কিছুদিন ধরে চলাচলের এজমালি রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রুমার অভিযোগ—জমি দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা অন্যায়ভাবে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং প্রতিদিনই চলাচলে বাধা দিচ্ছে।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে, রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিবেশী আলম (৪০), শাহ আলম (৩৫), সোহেল(২০), জুয়েল(২২) এবং আলমের স্ত্রী সাথী আক্তার (৩৪) লাঠিসোটা, দা ও লোহার রড নিয়ে তার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেবেন না বলে হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে আলম তার চুলের মুঠি ধরে টানা-হেঁচড়া করে, এতে তার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে যায় এবং তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। শাহ আলম কিল-ঘুষি মারেন বলে রুমা অভিযোগ করেন। এসময় সবাই মিলে দা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহির মেম্বারের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। রুমার অভিযোগ—প্রতিপক্ষরা লোকবল বেশি হওয়ায় এখনো হুমকি দিচ্ছে যে, রাস্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে পরিবারের লোকজনসহ খুন করে গুম করে ফেলবে

ঘটনার বিষয়ে মোছাঃ রুমা আক্তার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

রুমা আক্তার জানান—
তিনি মোট ৩ জন সন্তান—২ মেয়ে ও ১ ছেলে—সহ ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন—
অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তকাজ চলছে।